বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের বোন সুমি খাতুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী তাঁর হাতে সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদের নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, সুমি খাতুনকে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট (স্থায়ী) পদের বিপরীতে সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য শওকাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করে তাঁর (সাঈদ) পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গত ১৬ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯–২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের জাফরপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মকবুল হোসেন একজন দিনমজুর। ছয় ভাইয়ের মধ্যে আবু সাঈদ ছিলেন সবার ছোট। তাঁদের তিন বোন রয়েছে। এর মধ্যে সুমি খাতুন (২০) সবার ছোট।